মন্দিরা ঘোষ
ক্ষমার কাছে
সব হিড়িক আর আবেগ গির্জাঘরের দিকে
অসুখ পেরোনো সকালগুলো
খুব পিছনে ফেলে আসেনি কেউ
শোক ও সন্তাপের সমার্থক মুখগুলিতে
এখনও সহ্যের ধিকিধিকি
তেষ্টার কলমে উপচে পড়ছে
আপসের বালি কিচকিচ
সন্ধির পিছনে হিংসার বহুবচন
পেরেকের দগদগে ঘা নিয়ে অথর্ব ঈশ্বর
ক্ষমার কাছে ক্রন্দসী পৃথিবী
গির্জাঘরে কঠিন হয়ে উঠছে
মোমের সহনশীলতা
উল্কিময় ইশারা
এই যে ঢেউবিদ্যা গুনে গুনে
না বলার বলাটুকু জড়িয়ে দিন গুজরান
মিথ্যেকে সত্যি প্রমাণে
আকাশ মাটি এক করে
মঞ্চসফল প্রযোজক হয়ে ওঠার প্রয়াস
ধান ছড়িয়ে পাখিদের ভাষা
আয়ত্ত করতে গিয়ে
আগুন ফুঁ দেওয়ার কৌশল
শিখে নিচ্ছে ঠোঁট
পালক পুড়ে যায় শুধু
নতুন নতুন মিথ্যে জন্মের ডাক
মন গুটিয়ে ডানাকে অচ্ছুৎ
ওই যে উল্কিময় ইশারা
মিলিয়ে গেছে শূন্যতায়
কীভাবে খুঁজবে ওই শূন্যের ছায়াপথ
"যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের–
মানুষের তার সাথে হয় নাকো দেখা এই জেনে"!
– এই সত্য বুঝি বুঝেছিল কবি
নিগূঢ় অন্ধকারে নেমে
অশ্রুবাতিক
এত যে অশ্রুবাতিক ভেঙে যাওয়া মন
খন্ড বিকেল থেকে তুলে রাখা ভুল
ছুঁড়ে ফেলা সহজ তো নয়
দীর্ঘ কবিতালিপি মেঘে মেঘে
ছড়ালো ভুবন
কত যে অতৃপ্ত কথা
না পাওয়ার বিপণ্ণতা ক্ষয়
ঢ্যারাকাটা আলুনি জীবন
একে কি শেষ বলে দেগে দেওয়া যায়!
একে কি চেষ্টা বলে অক্ষম অচল!
তৃপ্তির ঢেকুর তোলা যা কিছু সঞ্চয়
সব ফেলে রেখে ভাবি
অনন্ত ঘুমের দেশে যাই
তবু যাওয়া হয় না তো –
এই অশ্রুবাতিক শেষের সমাধা ভেবে
নিজস্ব যা কিছু
সংহারের অংশ হয়ে যায়