বৈশাখী রায়চৌধুরী
দুঃখের বসন্ত বিলাস
১.
পাতা জুড়ে আফশোস লিখতে ঘেন্না হয়,করুণা জন্মে চোখের কোটরে। তাই বোধহয় দৃষ্টি যেখানেই পড়ে সেখানে শোকের আলপনা। লক্ষ্মীর ঝাঁপি খুঁজে চুরি করতে চেয়েছিলাম সুখের আলতা। পদ্মপাতায় কেবল জল জমেছে সখা।
২.
স্থায়ী হয় নি ছায়ার আখরকথা।একদিন বুঝলাম ভুল ঠিকানার প্রশ্রয়ে কোনোদিনই ছদ্মবেশ লেখা যায় না।আলতা ধুয়ে গেলে ফাটা গোড়ালি হাহাকার করে উঠে। বিশ্রী ঠোঁটে হেসে ওঠে সবচেয়ে প্রিয় আয়না।চোখ ফেটে জল আসে। তাচ্ছিল্য শব্দে বিসর্জনের বাদ্যি বাজে। রঙহীন চামড়াহীন একটা কাঠামোয় সত্যিই কি মা লেখা যায় না?
৩.
ভাগ্যিস দুঃখের কোনো স্থায়ী স্বরবর্ণ হয় না তাই তো নিশ্চিন্তে পাড়ে গিয়ে বসি রোজ।বেজে ওঠে মৃদঙ্গ। কান্নার বনজ্যোৎস্নায় দেখি ত্রিভঙ্গ হয়ে দাঁড়ায় ঋষিবালক।
কে যেন অনবরত ডাকছে আমায় এসো এসো এসো,
কান্নার বসন্তবিলাসে তোমাকে স্বাগত।