অর্ঘ্যকমল পাত্র
ডিসেম্বর
আমাকে ক্রমশ ঘিরে তবু আছে উত্তরহীন
নিজ ভাষা নেই নাকি হারিয়েছে নয়া অগোচরে?
না-পাঠানো চিঠি থেকে উঠে আসে আশাহত দিন…
উঠে আসে ঘুম ভাঙা, উঠে আসে নমনীয় ভুল
কাতর কবিতা থেকে জেগে বসে প্রতিরোধী জিদ—
‘তুই তো কবির মত, চাপ দাড়ি অগোছালো চুল…’
বৃথা লাগে বৃষ্টিরা, বৃথা লাগে সব হিতাহিত
শূন্য স্টেশন বোঝে কী যে ব্যথা পাখি-কলরবে
দু-চোখে ইশারা নেই, নাকি ছিল চশমায় ঢাকা?
প্রেম কি এতটা বোকা, সহজে বোঝেনি এতসবে
আজকে চেষ্টা করি—অন্তত: একবার তাকা…
অগত্যা
দু-বাহু আঁকড়ে ভয়কে করেছ জয়
দূর থেকে আমি সময় দোহাই দিয়ে
মনেতে ভেবেছি আমার জন্য নয়
যেসব স্বপ্ন রাত হলে জেগে ওঠে
যেসব চিন্তা ঘুমের মধ্যে ঘোরে
তেমন তোমাকে দেখেছি বৃষ্টি ভিজে
জলেও কেমন হতাশ আত্মা পোড়ে
বাহুতে ধরেছ তোমার প্রেমিক যুবা
নাকেতে ধরেছ শান্ত চশমা, যেন
আর কেউ নেই তোমাকে দেখার মতো
এমন ধারণা, জানি না হল বা কেন!
তোমাকে তবুও তোমার দু:খসহ
দেখেছি ভিজতে তোমার প্রেমকে ঘিরে
দূর থেকে আমি মাথা নীচু করে ফের
লিখে রাখি শোক, প্রতিদিন বাড়ি ফিরে
তরুণ কবিকে
রোগাটে আঙুলে ক্ষয়ে ক্ষয়ে নামে মেঘ
ছিন্ন জীবনে ভিন্নরুচির ছেলে
চোখভরা ক্রোধে ঘুরে চলে যায় হাওয়া
কুয়াশায় হাঁটে উদ্ধত ছায়া ফেলে
উন্নত গ্রীবা, মেরুদণ্ড-ও ভালো
সাধারণ লোক খবরও রাখে না তার
পাখিকে চেয়েও পেয়েছে কেবল পালক
জুতোর পেরেকে, লড়াকু সে অবতার
বিষণ্ণ ছেলে, হুট করে জেগে ওঠে
কবিতারা নাকি বিক্রি হয় না তেমন
রাতে ভুখা পেট, জিভ- কে বুলিয়ে ঠোঁটে
নিজ মনে ভাবে—'প্রতিরোধ লিখি যেন!’
এ বঙ্গ তাকে চাকরি দেবে না জানি
দেবে না কোমল একখানা প্রেমটিও
যেসব যুবক সময়ের আঁচে পোড়ে
কবিতা, তাদের তুমি আশ্রয় দিও
এভাবে বৃষ্টিদিন কিশোর শরীরে
শিহরণে আসে আর ঢালে পাপবোধ
স্বপ্নেতে দেখা যত হতাশার ভিড়ে
এমন বৃষ্টি এলে ভাঙে যার রোধ
কেটে যায় স্থিতি যত, রহস্য, জট
অজানা লিঙ্গ আর-ও তীক্ষ্ণতা পায়
প্রয়োজন অনুসারে হাতের পাতায়
প্রথম কিশোর চেনে নিজেকে প্রকট
তবুও বৃষ্টি শীতে; জল উঠে আসে
প্রথম শাদার কাছে বিস্ময়ে ম্লান-
নিখাদ কোমল কোনো স্বরলিপি পেলে
জেনো সে অপটু হাতে ঢেলে দিত গান..!
এই যে অতি বৃষ্টি এল শীৎকারময়
সেই থেকে হল তার শুরু অপচয়!
ছিন্ন জীবনে ভিন্নরুচির ছেলে
চোখভরা ক্রোধে ঘুরে চলে যায় হাওয়া
কুয়াশায় হাঁটে উদ্ধত ছায়া ফেলে
উন্নত গ্রীবা, মেরুদণ্ড-ও ভালো
সাধারণ লোক খবরও রাখে না তার
পাখিকে চেয়েও পেয়েছে কেবল পালক
জুতোর পেরেকে, লড়াকু সে অবতার
বিষণ্ণ ছেলে, হুট করে জেগে ওঠে
কবিতারা নাকি বিক্রি হয় না তেমন
রাতে ভুখা পেট, জিভ- কে বুলিয়ে ঠোঁটে
নিজ মনে ভাবে—'প্রতিরোধ লিখি যেন!’
এ বঙ্গ তাকে চাকরি দেবে না জানি
দেবে না কোমল একখানা প্রেমটিও
যেসব যুবক সময়ের আঁচে পোড়ে
কবিতা, তাদের তুমি আশ্রয় দিও
বড়দিন
তোমাকে শরীরে নিয়ে চেখে দেখি ক্ষত
তোমার উদার স্তনে ঢেলে দিই রাগ
আমাদের ভালোবাসা সেই ক্রোধ মতো
তোমার ঠোঁটেতে লেগে ফুলের পরাগ
রেখে আসি ক্রোধ আর নিয়ে আসি সুখ
তোমার স্তনের মতো দিন আজ বড়
যীশুর মতোই তারা প্রাণ উন্মুখ
আমার দুহাতে এসে নিজেকেই গড়ো
গড়ে নাও স্রোত-পথ, বৃন্তে মোচড়ে
ব্যথা নাও; স্মৃতিপটে আমাদের খেলা
ব্যথা শেষে চিনে নাও নিজ অগোচরে
আমার হাতে না এসে পাওয়া অবহেলা
মৃদু হাতে দুহে নেব স্তনেদের ছাঁচ
তোমার দেহের থেকে সবটুকু রং
যদি আজ রাজি থাকো, সাড়া দাও আজ
তোমাকে চেনাই মেয়ে, লিঙ্গ-অহং!
দুপুর
শিহরণে আসে আর ঢালে পাপবোধ
স্বপ্নেতে দেখা যত হতাশার ভিড়ে
এমন বৃষ্টি এলে ভাঙে যার রোধ
কেটে যায় স্থিতি যত, রহস্য, জট
অজানা লিঙ্গ আর-ও তীক্ষ্ণতা পায়
প্রয়োজন অনুসারে হাতের পাতায়
প্রথম কিশোর চেনে নিজেকে প্রকট
তবুও বৃষ্টি শীতে; জল উঠে আসে
প্রথম শাদার কাছে বিস্ময়ে ম্লান-
নিখাদ কোমল কোনো স্বরলিপি পেলে
জেনো সে অপটু হাতে ঢেলে দিত গান..!
এই যে অতি বৃষ্টি এল শীৎকারময়
সেই থেকে হল তার শুরু অপচয়!