মোহনা মজুমদার
নভ
ছয় বনমালী লেন ধরে ভাঙ্গা আলোর চাকা বয়ে চলেছে ।
পাশে রক্তবীজের কারখানা ।
শূন্য ইন্টারনেট জোন পেরিয়ে পুতুল নাচের শহর
আমরা সেখানে রোদ মাখি, খেলা করি ।
বহুকাল আর মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গে না,
তবু জোনাকি রঙের রোদ এসে চুমু খায় আমার কঙ্কাল
ঘর থেকে বহুদুরে সোনালি কাস্পিয়ানের ভেতর ।
আগুন আর চোখের পলকহীন আত্মপীড়ন –
এও কি তবে নিমেষরহিত জাগরুক ?
তুমি কি সত্যি দাঁড়িপাল্লায় মাপ ? তরঙ্গে ধাবিত গোপনীয়তা ?
এসো প্রাত্যহিক ! আমরাও শুক্লপক্ষে বিন্দু-বিচ্ছুরন যোগ করি-
ইথারে তখন বিরল নীলিমা ।
উড়ে যায় , উড়ে যায় –
ঠিক তারপর উড়ে যায় সংলাপহীন কলঙ্ক ।
মায়ার অতলে
সূঁচ দিয়ে সুতো টানতে গেলে প্লাবন আসে , কান্না ভেঙ্গে উপড়ে নিই স্নান ।আয়নার সামনে খানিক দাঁড়ালে বুঝি অভিশাপ কুড়োতে কুড়োতে তুমি ক্রমাগত অভিযোগহীন প্রত্যয়ে চেয়ে থেকেছো ঘরের দিকে । আর লাশটুকু ? এখনও কিছু বিশুদ্ধ নীল তরঙ্গের কোলাজ সাজিয়ে দুর্গের সামনে এসে দাঁড়ায় ; তবু বলবার মতো কিছু তৈরি হয় না ।
সন্তর্পণে একটা , দুটো করে কাঁটা বেঁছে রোদে শুঁকোতে দিই । আরও কন্সেন্ত্রেটেড হয় ধৃতি , গোপন কাঠ।
কারা যেন এসে কলিংবেল বাজিয়ে যায় , চুপি চুপি দরজা খুলে দেখি কুয়াশা ভরতি হাহাকার । বাজার থেকে ছোবল কিনে এনেছি । জলে খাবলে খাবলে ধুই , ঝুড়ির তলায় জমা হয় ক্ষমা । ভেসে যায় আলো ।
অতঃপর মাংস এবং রোমকূপের ভেতর জাগাও দ্বন্দ্ব , লবণহীন । অথচ এই দৃষ্টিকেই বারে বারে নির্বাণ ভাবতে চেয়েছি । পাশাপাশি হেঁটে অতিক্রম করেছি অনিবার্যতা । এভাবেও কি গিট খোলা সম্ভব ? প্রতিবার কেন জলের কিনারে এসে নোঙ্গর বাঁধো ?
শেষ হয়েও যা শেষ হয় না , তাকে তুমি কি বলবে ? আশ্রয় !!
রজঃস্বলা ডিঙিয়ে
বোবা এক ঘুমের কুণ্ডে সাঁতার কাটছে নোনা হয়ে ওঠা আলো । জানলায় অভুক্ত দিদৃক্ষা ।
বরফ ছাড়িয়ে জলের দিকে । বৃষ্টি আসে ।
পাথরে পাথরে মুখ ঘষে মিথ্যা লিখবো ? এ কথা ভাবতে ভাবতে , এ কুল-ও কুল দুকূল ভাসিয়ে ভিজে ওঠে ঘিনঘিন করা ভ্রম। টপাটপ অ্যাসাইন্ড করি , মগজের ঘরে ফেরার গল্পে । । টের পাই চিকন রঙা সুখ ।
তোমায় নিখুঁত ভাবতে ভাবতে কখন যে এত নিভৃত আয়োজন সাজিয়েছি , জানা নেই । তবু পাঁচফোড়্ন-পোড়া গন্ধে ক্রমশ নোনা হয়ে ওঠাটাও তো একপ্রকার নির্বাক প্রত্যয় ।
যে পুরুষ রজঃস্বলা ডিঙিয়ে বিপ্রতীপে রেখে যায় যাপন কৌশল , তাকে তুমি কিভাবে যন্ত্রণা দেবে ?
ওগো বাঁশিওয়ালা ,দাঁড়াও !
খোঁজো , গোপন প্যাস্টেল , ডান্ডেলিয়নের দেশে ।
ক্ষত’ র ওপরে ওভারব্রিজ বানাচ্ছে কারা যেন !
ঘুঘুর বাসা থেকে জাহ্নবী হেঁটে আসছেন ,পরিত্যাক্ত মাছের মতো , গঙ্গোত্রীর দিকে।