গুচ্ছ কবিতা - নিমাই জানা

নিমাই জানা
অতি সাংকেতিক সাইবার ক্যাফ, জিলেটিক ক্ষত , হেমোজেনিক পিতা

অতি সাংকেতিক রজভদ্রের মতো চটচটে পিতামহের থেকেও আরও চুম্বকীয় কোন নারকীয় স্পর্শজনিত অতি হেমোজেনিক চুমুক বিষয়ক মৃত্যুরও ডেরিভেটিভ হয় , অসুস্থ গলনাঙ্কের ভেতরে কে ওই শিথিল গোপনাঙ্গবিহীন চাঁদের অস্থির প্রাণায়াম দৃশ্য দেখে ফেলে আর ১১৭ টি অর্গাজম করে নিজের শরীর , এখানে ধনুক বিক্রির নীল হরিণীর জলপ্রপাতের প্রেয়সীরা স্নান করছে একদল ব্যাঙ্গমার সাথে , ব্যাঙ্গাচিদেরও ক্ষুদ্রান্ত্র মিলে দিয়ে আমি পিপাসার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে কালো আঙ্গুরের বিয়ার খাচ্ছি ভাঙা কাঁচের গ্লাসের নিশ্ছিদ্র নীল তিমির পিত্তথলি গুলিয়ে দেওয়া কোন সাইবার ক্যাফের জিলেটিক  অ্যাকোয়াটিক নারী শরীরের সাথে , এখানে সবাই কোমা বিষয়ক ক্ষত বিক্রি করে ময়ূরাক্ষীর হাটে , মৃত মানুষ পাথরের উলঙ্গ সমাকীর্ণ নির্বিকল্প বোধের উচ্চাঙ্গ সংগীত গাইতে গাইতে গলার ভেতরে ঢুকিয়ে নেয় কালো সূর্যের তৈরি স্বর্ণালংকারের উনুন , ইউরেনাসের মতো অর্ধ তরল মৃত্যুকেও ছায়া দিয়ে ঢেকে রাখি,  এতো অস্ত্রের ভেতরেও নবম জনপদের তৃতীয় বিষধর সাপগুলো কালো ফিতে দিয়ে বেঁধে দিচ্ছে অশ্লীল সূর্যের ভ্রমণ ও বমন ক্লান্ত মৈথুনের শিরদাঁড়া ,  মৃত্যুকেও মাঝে মাঝে ভাঙ্গা ব্লেডের দামে বিক্রি করতে হয় একটা কালো সিলিকন যৌন রোগের ঔষধ বিক্রেতাকে যে জানে প্রতিটা গর্তের নিচেও একটা আত্মা শুয়ে থাকে। আমি ৪র্থ শ্মশানের উলঙ্গ আদপোড়া মানুষটাকে রৈখিক ঋতুস্রাব দ্রব্যের মধ্যে দিয়ে শুকতারার মহাপৃথিবী গণিত শেখাচ্ছি আর নবম জন্মনিয়ন্ত্রণের ঔষধ গুলো উড়িয়ে দিচ্ছি বিষাক্ত নদীর দিকে , আমি অতৃপ্ত সঙ্গমশূন্য ভ্রমের ঘোরে বলতে থাকি মৃত পিতা আমার অপেক্ষায় বসে থাকে গিরিখাত গর্তের ভেতরে অভিশাপগ্রস্থ হ্রদ হয়ে , তিনজন পিথাগোরাস কালো আঙ্গুরের লাল মুত্রাশয় ছিঁড়ছে নবম কৃৎ উপপাদ্যের সম্বিত কম্পাস দিয়ে ,
পৃথিবীর সব বিয়োগান্তক উটগুলো ফ্যানাওয়ালা সাবান মেখে রজত দণ্ডের মাথায় হড়হড়ে পৃথিবীর গ্ৰ্যাণ্ডক্যানিয়ন নিয়ে চতুর্ভুজ যজ্ঞের আয়োজন করছে আর রক্ত বিক্রি করছে সিলিক্স এম ১০/২৫ নামক হৃদরোগ ছদ্মবেশকে


৩য় টেস্টটিউব মর্গ ৪র্থ স্যালাইভা নষ্ট সমুদ্রের কিম্ভূত সরাইখানা

নৈসর্গিক মন্ত্রের ন্যুড ক্যাভিটির মতো আমি সারারাত সেই অস্থিতিস্থাপক টিনেজার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারটির হাতের ঝুলে থাকা কালো জামরুল ফলের মতো সরু সরু সুক্ষ্ম সাঁড়াশি হয়ে আমিও শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যৌনাঙ্গ বদলের ঘরে ঢুকে যেতে পারি ,  সারারাত পাথরের জরায়ুর ভিতর থেকে অতি লবণাক্ত স্বাদের সোয়াব সংগ্রহ করে রেখে দিতে পারি এক একটা সাদা টেস্ট টিউবের ভেতর , আমার জাহান্নামের সরু সরু পিতলের তৈরি কাঁটা গুলোকে গলার ভেতর দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে পারি দুটো কুড়ি এম এল এর ডিস্পোভ্যান দিয়ে , কিছু অ্যাসিটিলিনের রাক্ষস মূর্তি একটু হাইড্রো সালফিউরাস দ্রবণের মহাপৃথিবী ভূগোলের নির্বিকল্প ধনুর্ধর গুলো এসে আমাকে ঢুকিয়ে দেবে কোন ফ্রিজিং কাউন্টারের গলার ভেতর , এখানে ফিমেল কোয়াটারের মতো অতি তৈলাক্ত গিরগিটির মরা ঠ্যাং গুলো বিক্রি হয় গুদাম ঘরে জমতে থাকা সিমেন্স বিক্রির বদলে ,  আমার নামের পেছনে কিছু ডগলাস পাউচের নীল ক্যাভিটিতে রেচন যন্ত্রের একটা স্টিকার থেকে উড়ে যাচ্ছে কালো পক্ষীবলয়ের নীল কোকতীর্থ , আমি অসংপৃক্ত সঙ্গম থেকে উঠে এসে সারারাত বৃশ্চিক মূর্তির নবম ঘর গুলোতে মৃত্যুর গণিত প্রচ্ছদ অঙ্কহীন একটা সনাতন স্থাণাঙ্ককে ঢুকিয়ে দিচ্ছি আমার লাল ঘোড়ার জরায়ুর নৃসিংহ দানবের মাথায় , অতি জ্বলন্ত মহাকাশের থেকে অতি ধুরন্ধর দাবানলের ভেতর কে ওই হেঁটে হেঁটে রাতের কঙ্কাল গুলোকে ঝুলিয়ে দিচ্ছে আফিম গাছের ওপর আর বিন্দু বিন্দু গন্ধর্বের রক্তগুলো খেয়ে ফেলছে আরও একদল স্থূলবৃত্তের মানুষের পর্যাবৃত্ত পাহারাদার সেজে , কালো কালো সাপেদের মাথায় একটা অবিনশ্বর চক্রাকার চাকা ঘুরতে ঘুরতে পরা জাগতিক শরীরের মাংস খাবলে খাচ্ছি ভয়ংকর নরখাদকের স্ত্রীলিঙ্গ পাহারাদারের আংটাওয়ালা দাঁত  , আমি পৃথিবীতে বৈদেহী নখ কেটে দেওয়ার যন্ত্রকে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে জেলিতে ডুবিয়ে কলিচুনের রসায়নে ডুবিয়ে আমার ভোজনালয়ের সরাইখানার ঋণাত্মক বিছানা বানিয়েছি , পৃথিবীতে তিনবার মৃত্যু হলেই অহো জন্মের প্রতিবন্ধী ঘোড়াটি লাঠি ঠুকে ঠুকে কল্কি হয়ে যাচ্ছে , মৃত্যুর পেন্ডুলাম দোলাচ্ছে মহাশূন্য অজ্ঞাতবাসের ময়ূর বিক্রেতা
হে নির্বিকল্প সমর্পণের পিতা , হিলিয়ামিক আপেলের শামুক বিষয়ক জরায়ু গুলোকে পুড়িয়ে আমাকে রাত্রি কালীন ছাই দিয়ে যাও , চতুর্ভূজ অসুখ সারিয়ে ফেলি ইনস্ট্যান্ট বমি বন্ধের ওষুধ দিয়ে , তিনটি ডেক্সট্রোজ অন্ধকারে একজন সেবিকা আমার সাথে মর্গের খুনী হতে চাইছে


শিককাবাব ঘুম ও কালো মাকড়সার অবিন্যস্ত যৌন বংশধর

প্রি ওয়েডিং শ্যুটিংয়ের মতোই শিক কাবাব মার্কা ডলফিন প্লেটেড হত্যাকারীর মতো আমি রাত বারোটাতে উঠে খালি প্লেটে করে মাংসের জেলি ভেজানো জল খাই , মাংস সংরক্ষণাগারের জানালার মতো অতি অসুস্থ চামড়া ভেজানো কাঁচ ভেঙে আমি পিশাচের বংশধরদের লাল আফিমের মুদ্রাদোষের রক্তাক্ত সাপগুলোর ছাল ছাড়িয়ে শুকোতে দিচ্ছি রেডিওঅ্যাক্টিভিটির পেন্ডুলামের উপর , আমার বুকের কাছের কোন বোতাম নিষিদ্ধ মৃত শিল্পীর মতো গান পাউডার ওড়াচ্ছে
পড়ে থাকে একটা যৌন বর্ধক ভ্যাকুয়াম যন্ত্রের খালি প্লাস্টিক কৌটা , কৌটা দিয়ে মৃতদেহ স্নান করানোর নামে একটা ছোট শৌচালয়ে যাই , পা গুলো বেঁধে রাখি কেঁচোর অস্থিতিস্থাপক গর্তের ভেতর , গর্ত থেকে বেরিয়ে আসলে মানুষ অতিপ্রাকৃত হয়ে সেই গর্তের কাছে আবারও নীলকন্ঠ জ্ঞানের হরিণগুলোকে ধরতে ধরতে তলপেটে ঢুকিয়ে দেয় অর্জুন গাছের কাঁচা জ্বালানি , হরিৎ বর্ণের সব বেহালা বাদক আমার উন্মাদ ভয়ংকর পালকহীন কালোও মাকড়সার বিষ নিয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে মাঝ রাতের কোন বশিষ্টকে হত্যা করার জন্য, বন্য শূকরের গন্ধ থাকতে পারে আমি পুড়িয়ে দিতে দিতে আমার কিউনিফর্ম জন্ম নক্ষত্রের সব আদিম পিতাদের ডেকে আনি , যাদের কাছে বাগানে এক একটা লম্ব বৃত্তাকার বন্য মানুষীর ঠোঁট থেকে চুমু খেতে খেতে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করছিলাম অ্যাসিটিক টেস্ট টিউব থেকে , কোন যৌন তৈরীর কারখানাতে আর কোন অক্সাইড ঘামের দুর্গন্ধ ভেজানো প্যাপাইন রক্ত বিক্রি হয় না আমি সিলভার মিউরেটেড পুড়ে যাওয়া স্ত্রীলিঙ্গ শ্রমিকদের ছাল ছাড়ানো পোশাকের উদগীরণ মাপতে মাপতে আগ্নেয় সূর্যের মহাপ্রাকৃতিক সর্পিলাকার সভায় আমার নিজের কঙ্কাল বিষয়ক চামচ দিয়ে পৃথিবীর দৈর্ঘ্য মাপছিলাম আর উলঙ্গ হয়ে স্তন বিষয় ক দৈর্ঘ্যের নীলাভ হাইজেনবার্গ কৃষ্ণগহ্বরের ভেতরে নীল চাঁদ আঁকা জায়ফলগুলো লাফাতে লাফাতে সংকেতবিহীন অতিপর্যায় সারণির নীল সোডিয়াম দাঁত দিয়ে এ জন্মের রাক্ষস শাস্ত্র পড়েছিল কুশল অঙ্গদের কল্কি শাক্তপুরীর নীলাভ মাগধি মুদ্রায় , আমি রোগাক্রান্তের পান্ডুরোগ বিষয়ক জলজ লাভা থেকে চুঁইয়ে আসা স্তন্যপায়ীদের লালা রেখায় পৃথিবীর হত্যাকারীর মাংস দিয়ে কস্টিউম মার্কা চা বানাচ্ছিলাম , অফ্রু ডট ম্যাক ডট ব্রডব্যান্ড ঙ রঙের জলজ নদীর কাছে এসে ৩.৬৮ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের ভ্রুণের গর্ভপাত ঘটাচ্ছিলাম ,
মৃত্যু হলেই মানুষ মৃত্যুর ব্ল্যাঙ্কেট খায় লিউকোরিয়ার অ্যান্টাসিড দিয়ে


নন ভার্জিনিটি ফিনাইল ও লগারিদম গনিকালয়ের স্তনলিপি

কৃতিকা জন্মের মতো ভার্জিনিটি রাজসূত্রের থলথলে পিণ্ড বিহীন প্রাগৈতিহাসিক হতে হতে প্রতিটি নীল লগারিদম ট্র্যাঙ্কুলাইজার মানুষ গীবক উষ্ণতর সেলোনিয়াম মৃত্যুর নক্ষত্র গুলোকে মাটির গভীরে বিশুদ্ধ তন্ময় তন্ত্রের অগৌর পাখিদের নিয়ে অতিলৌকিক স্নানে যাচ্ছেন নীলাভ মনিদের সংকেতহীন মীণাক্ষ দ্রবণের অতিসংক্ষিপ্ত দ্রব্যের পোশাক পরে ,  নীলাভ গনিকালয়ে আর কেউ পিণ্ড বিক্রি করতে আসে না গোলাপি ব্লাউজের ভেতরে যে পৃথিবীর নীরব ∆ মার্কা উর্ত্তন্ডের মতো স্তনলিপি শুয়ে থাকে তাতেও পাতলা ফিনাইলের একটি রঙ্গনশালার তৈজসপত্র ভিজিয়ে সাদা তুলোর ভেতর দিয়ে আমি পায়ুদ্বারের লাল ক্যাঙ্গারু গুলোকে পাঠিয়ে দিচ্ছি অগণিতের যমপুরি বিষয়ক নিদ্রাচ্ছন্ন জাহান্নামের মুদ্রাময় স্থানাঙ্ক নির্ণয়ের জন্য , কেউ কেউ রাত্রি বিক্রি করে নিষিদ্ধ পল্লীর উষ্ণতা কেনার জন্য , প্রসব বিষয়ক ভেপার ল্যাম্পের মৃত সঞ্জীবনী বিছানো ডুয়ার্সের নিষিদ্ধ কমলালেবুর খাঁজে রক্ত আমাশয়ের সরাইখানায় মার্ক অ্যাসপিরিন মেশানো লো কস্টিউম অ্যালকোহল অ্যাম্বুলেন্স বিষয়ক রাত্রের নীলাভ করোগেটেড সিমেন্টেড ডার্ক চকলেটের অ্যালোভেরা বিষয়ক ফুসফুসের রঞ্জন রশ্মি নিয়ে আমি প্রসূতিখানায় যাই , মার্ক ইউরোক্রম ফসফরাসের ফর্সেপ দিয়ে টেনে আনি মাথার ভেতরে ঝুলতে থাকা ফাঁসির দড়ির অদ্ভুত মায়াজালের হাড়ের রস  , রাত্রিতে প্রতিটি দণ্ডপ্রাপ্ত মানুষ হেঁটে হেঁটে শিরদাঁড়া হয়ে যায় , তার কর্দমাক্ত চামড়ার নিচে কবর পাহারা দেয় চামচ দিয়ে মাথার ঘিলু বের করে কালো গোলাপের চাষ করে হাফ উলঙ্গ হয়ে জলের অনেক অতলের স্নায়ুবিহীন মেরুদন্ডে গুঁজে দেওয়া কালো ধুতরার বিষ , মেরুন রঙের সব শিলাদিত্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল মৃত্যুঞ্জয় ঔষধি দ্রব্যে কালো মোটাদাগের সাপগুলো কিলবিল করতে করতেই মৃত মানুষের স্নায়ু পঞ্জিকার তলদেশে ঢুকিয়ে দিচ্ছে একটি অসুস্থ ফাইব্রয়েড। কে ওই আদিম সূর্যের গোপনাঙ্গে নোঙ্গর করে অতিলৌকিক যুদ্ধক্ষেত্রে পাড়ি দিচ্ছে বারবার ! আর বীর্য উৎপাদন পরাগের মতো অশ্বারোহীদের বিক্রি করে হত্যা করছে অজস্র ক্ষত্রিয়দের চিতায় নাচতে থাকা মৃত্যুর নিশিপদ্য ডাক , তিনটি পিশাচ পুড়ে নিকোলাস ট্যাবলেটের মতো সতিচ্ছদের পর্দা ছিঁড়ে হস্তমৈথুনের মতো অতি শৃঙ্গার দৃশ্য দেখাচ্ছে একজন টেস্টোস্টেরন বিক্রেতাকে , মরফিন মার্কা ডালিমের দানায় আমার নরখাদক শুয়ে আছে ফিমেল ইউরিনালের মতো প্যাঁচানো অজগর ভর্তি ডাস্টবিনে , আমি কালো ধুতরার ন্যাপকিন নিয়ে ব্রহ্মাকে বাতাস দিচ্ছি আর রাতের হাসপাতাল থেকে নেমে অশ্বগন্ধা হয়ে যাচ্ছি তুরীয় কালারের টেস্টিস নিয়ে


ঈশ্বরীয় মুদ্রাদোষ ও আর্যাবর্তের জীতেন্দ্র শ্মশানের ইউরেথ্রা

ভাই সালফিউরিক অ্যামোনিয়াম নোটেড ঈশ্বরীয় মুদ্রাদোষ ভেঙে স্ক্রু ড্রাইভারের মতো আঁশওয়ালা লোহার হাপরখানায় বিশুদ্ধ যৌগের উল্মীশ্বর বানাচ্ছে কনিষ্কের দ্বাপর তন্ত্র দিয়ে , অতি মড়ার মতো রক্ত দগ্ধ ঘা এর ভেতর থেকে উড়তে উড়তে জীতেন্দ্র কোরিয়ান এন্টারপ্রাইজের নিষিদ্ধ হাড় গুলোকে জ্যোতির্বলয় থেকে ছিঁড়ে দিয়ে উপবৃত্তের তথ্য বোঝাই লোহার কারখানায় মৃত মানুষকে বানাচ্ছে জেরোফেক্ট গর্ত দিয়ে , পাতালের পিপাসা বিক্রি করলেই যে মানুষটা বাদামী রঙের ধূমাবতী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সে দেবীদের আদি দেবী প্রদেবীর বাদাম খোলসের নীলাভ জননেন্দ্রিয় বিক্রেতা , ইউরেথ্রা আর জাগোটেড ইমোশন বিক্রেতার মতো এখানে লাবডুব করে অযোধ্যা বিষয়ক জলজ নদী থেকে উঠে আসা নট স্কেলিটন মার্কা একটি বরাহের শিরদাঁড়া। অষ্টম আর্যাবতের শক্ত কাঠের মতো বাল্মিকী পাঞ্চালির গর্তে নেমে যায় আর শ্মশানের পা ফাঁক করা শশধর বিষয়ক যৌনাঙ্গ থলথলে জেলির মতো আমি কৃষ্ণ গহ্বরের মোক্ষ তন্ত্রের অতি কক্ষপথ ছেড়ে দিয়ে নষ্ট সমুদ্রে পান করি এক একটি স্নায়ুতন্ত্রের বিষের স্ট্রিং ইনস্ট্রুমেন্ট , কে আমাকে ডাকলেই আমি কাঁচ ভাঙা খেয়ে নিই জিভ ছিঁড়ে দিই সাপের ফনা বের করি ঈশ্বরকে উলটো দিকে ঝুলিয়ে দিই কালো ব্যাগ থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমি নিজেই আত্মহত্যার প্রেসক্রিপশন লিখি , এখানে শীতল মানুষেরা আসে স্নায়ুর আফিম গায়ে দিয়ে , কালো ধোঁয়া ওড়ে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে অসুস্থ হাওয়া কাঠির মতো ৩ কোটি ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭০৫ টি পদাতিরা নেমে যায় , জলের মনোস্তত্ত্বের সাইকোটিক এজমালি ঈশ্বরীর উলঙ্গ গায়ের ভেতরে সিক্স বি গ্রাফাইট আঁচড় গুলো টেনে ফেলতেই তার নীরব প্যান্টির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা কালো রঙের সাপগুলো উদ্বায়ী জলজ পাশওয়ার্ড গ্রুপ থেকে বেরিয়ে ভাঁজ করা নাইলন অন্তর্বাসের জানালাগুলো খুলতে খুলতে তৃষ্ণার্ত হয়ে ওঠে আর রাবার বাগানে অসুস্থ কাঠের বিনাইন চন্দন মাংসপিণ্ডগুলো ছিঁড়তে ছিঁড়তে নেমে যায় হাসপাতালের করিডোর ধরে। আমি সেপটিক ট্যাংকের রক্ত মাখানো মলমূত্রের মতো সরু ৪ ইঞ্চি পাইপ দিয়ে নেমে যায় অনেক পাতালে , পাতাল থেকে প্রদ্যোৎ পাতালে সেখানে ঈশ্বরের ছাই পড়ে থাকে। আমি ফুঁ দিয়ে তাদের জীবিত করে তুলি , আর ইছামতি ঈশ্বরীকে ডেকে আনি তরল বিষপান করার জন্য যে মোক্ষতন্ত্রের সড়ক ধরে নেমে যাবে আর পান্ডুরোগের শক্ত বমি করে অতি সক্রিয় উপসর্গগুলোকে আরো তেজস্ক্রিয় করে আমার ষোড়শ উপাচারের নক্ষত্রের গায়ের ছালের মতো নিদ্রা ভেঙ্গে দিয়ে নেটফ্লিক্সের কার্বন দন্ড থেকে চুমুক দিয়ে পান করবো কার্বনিক স্যালাইনের নীল ভাটাইগো ভাটির্জেন , অদৃশ্য আততায়ীরা কেঁচো খুঁড়তে খুঁড়তে লাল সাগরের কাছে এসে পৃথিবীর কোক তন্ত্র পড়ছে। পিতৃহীন মাদকাসক্ত অলীক সংশোধনাগারে ঋষিদের রজঃ দ্রব্য রেখে দিচ্ছে বিধর্ভ উপপাদ্যের সংকেতহীন মৃদু সন্ন্যাসায়ন দিয়ে ,
হে তাপ , যোনি দৃশ্যের অস্থির শূকর গুলো দৌড়াচ্ছে অপরা মাধ্যাকর্ষণের ক্রিয়াপদ বরাবর আমি অবৈধ অশ্লীল পদার্থবিজ্ঞানের শক্ত কাঠের মধ্যম পুরুষ ভেঙ্গে দিয়ে বারুদের ক্রনিক ক্ষয়রোগ সারাচ্ছে




Author Photo

নিমাই জানা

জন্ম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার রুইনান গ্রামে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ছায়ার মূলরোম। অন্যান্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ গুলো হল নির্জন পুরুষ অসুখ, ঈশ্বর ও ফারেনহাইট জ্বরের ঘোড়া, ইছামতি ঈশ্বরী ও লাল আগুনের ডিম্বকোষ, ব্যাবিলনের চাঁদ , সাইক্লো ব্লেড ও কফের কিসমিস, জিরো কম্পাঙ্কের পেন্ডুলাম, অ্যালঝামার্স পুরুষ ও সাপের কিমা, রজস্বলা বৃষ্টির গুণিতক সংখ্যাগুলো, আত্মহত্যার ইকুয়েশন ও নির্বীজ ঋষিদের রক্তস্রাব, নীল সরাইখানা ও যক্ষার থ্রি জি বি অর্গাজম।

Post a Comment

যোগাযোগ ফর্ম