সব্যসাচী মজুমদার
এইসব হত্যার
এসব হত্যার ভ্রমণ চাহিদা নেই …
যারা আমাকে লিখতে বলার পর
ভুলে গিয়েছিল কিভাবে ততটা ফসল ফলেনি
এবারে আর কেউই বজ্রপাতে মারা যায়নি
এই অববাহিকায়
তবুও নামে শ্রাবণ,
কুসম তরল ফুল,
আবহবিকার সমূহ ফুটে উঠল
একে তুমি শহরের অর্থ ভাব
আমি ভাবি, স্যাঁতস্যাঁতে দিনগুলো
যেভাবে ঢুকেছে শামুকের মধ্যে
তাদের গাছেদের কথা
বাষ্পীভূত হতে থাকে নিম্নগতির ঘটনা…
এভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি
এভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি —
তুমি হরিদ্বর্ণ …
এভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি
তুমি বৃষ্টি; জনমত…
নীরব অথচ ঘাতকের প্রেমে
কাটিয়েছ এক একটা তত্ত্ব।
তোমার ওপরে সারারাত
বৃষ্টিও পড়েছে
খাদ্যের অপেক্ষায় থাকেনি ইঁদুর
আর তুমি স্বতঃই সুন্দর পোকা,
এসে বসছ জলীয় বায়ুতে
অতঃপর সিদ্ধান্ত নিয়েছি —
তুমি নাটকের বই,
দু'এক পৃষ্ঠার পর কাঁদিয়ে দিয়েছ…
যতটা ফসলের মতো
যতটা ফসলের মতো, তারও বেশি পথশ্রম …
এসেছি তোমার কাছে, অধিকন্তু আসার কারণ
বলিনি এখনও তাই আসমুদ্র বৃষ্টি নামল…
— এই দৃশ্য তৈরি হয় গানের আদলে
দূরে মৃত কুকুরের মতো
প্রতিযুক্তি দিল যাযাবরের পাখিরা
দিল আমাদের প্রভুব্যঞ্জনার পীড়া
দিল কি ? দিলও নাকি আবার !
তরু পুঁতে রাখি তবু সুঠাম বালিতে
এবার বরষা দাও
প্রভূত বরষা দাও জাতিগোষ্ঠীর শরীরে…
যেসব তোটক
যেসব তোটক ফেলে রেখে গেছ
যেসব প্রতিমা…
যেসব দুপুরে জল একা থাকত না
— ফেলে রেখে গেছ
তাদের গোলার্ধে
সুর করে পড়ি
আসলে, আমার ফুল ফুটেছে সহজে…