সৌম্যজিৎ আচার্য
পথিক
গলি আর বাঁকে, ভাবছ কি ঠিকানা হারাবে?
একদিন তুমি, এ পথের আগে আগে যাবে...
দৃশ্য-২
বাংলা বাজারে তার বইয়ের দোকান
সে তাকিয়ে থাকে মেয়েটার দিকে
মেয়েটা আসে
সে নিরক্ষর...
দৃশ্য-৩
কলেজ স্ট্রিটের গলি থেকে
একটা বই বিক্রি হয়ে চলে যাচ্ছে দূরে
সে চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে সে
সে প্রেমিক,
আসলে অন্য একটা বই...
একটা বাস আর এক শহর
যারা কবিতায় গল্পে চুমুকে 'চুম্বন' লিখেছে
যারা বুকের খাঁজকে লেখে আজও 'স্তনবিভাজিকা'
যারা শহরের বুড়ো গাছে পেচ্ছাপ করেছে
যারা মিনারে মেলেছে রঙ বেরঙের সায়া
যারা রোগা ঘোড়ার গাড়িতে উঠে সেল্ফি তুলেছে
যারা কবর থেকে ফুল তুলে বিক্রি করেছে আবার
আমি তাদের কে?
কেউ নই,
কেউ নই,
শুধু বাসে,বসে আছি পাশের সিটটিতে
রবীন্দ্র সদনে কবিতা পড়ার আগে...
জ্যোৎস্না কুয়ো
বুক থেকে বোঁটা খসে পড়ার ভয়ে
কুয়োর জলে ঝুঁকে
যে কখনও চাঁদ খোঁজেনি
সে নারী নয়। নর নয়
কবিই বা কীভাবে সে হবে...
নুড়ি
অনেক অনেক জল
প্রতিদিন
একটা করে নুড়ি ফেলি তাতে
সে নুড়ি হয়তো ভেঙে যাবে ঢেউয়ে,
পাতায় ওপর বসে ভেসে যাবে দূরে
গভীরে হারাবে...
ছোট্ট নুড়ি, যেন এক এক ঋতু,
যেন বরফকুচি, প্রেম
অনেক অনেক জল
তুমি
প্রতিদিন একটা করে নুড়ি
ফেলি তোমার ভেতরে...