দেবাশিস ঘোষ
অলৌকিক এক ঝর্ণা
অনেকগুলো সন্ধ্যা পেরিয়ে মনে হয়
একটা ঝর্ণার কাছে পৌঁছে গেছি প্রায়
এলোমেলো জ্যোৎস্না আর খড়ের বাড়ির পেছনের মেটে পথ
হেঁটে হেঁটে চলে এসেছে আমার পেছনে
রাতজাগা গাছেদেরও চোখ আছে
কবেই তো জানা হয়ে গেছে
এখন ঝর্ণার শব্দ শোনা যাবে?
শোনা যাবে ঝিঁঝিঁর ডাক?
কিছু না অন্ধকার,
কিছু না জ্যোৎস্না,
পড়ে থাকা দিগন্তের আড়ালে
ঝরে যাওয়া দিনগুলো তাঁবু খাটিয়েছে
তাদের গন্ধ আসে, আলো জ্বলে, রান্নাবান্না হয়
এতদূর পর্যন্ত চলে আসে সুতো
এতদূর থেকে টানে চাঁদের কোটাল
এক্কা দোক্কা করে লাফিয়ে লাফিয়ে পেরোচ্ছি খোপ
এক, খোপ দুই, খোপ তিন চার
কী জানি সন্ধ্যাবেলা ঝর্ণাগুলো
জল নাকি আলো মুখে নামে!
মেঘদূত
তোমার চোখভর্তি ফাগুন আর ডালে ডালে রৌদ্র পলাশ
কতদূর ছড়িয়ে পড়েছে, ভূগোলের সব সীমা টপকে!
এখানে অস্থির আমি, এই হু হু বাতাস, আর ধুলোর রাস্তায়
আমি এক এক্সপ্রেস ট্রেন, প্রতি সিটে বসে আছো তুমি
এসব ঝঞ্ঝাট খবর তোমার কাছে নেই
এইসব ভিজে যাওয়ার সারাটা দিন রাত শুধু বয়ে যাওয়া
তোমার মুখ, চোখ, তোমার হেঁটে যাওয়া জাদু বাস্তবতা
আমার সম্পদ। তোমারও কি মেঘ জমে নি একটুও!
হাজার মন খারাপের আরণ্যক দেবী তুমি আজব শহরে
তারে মেলে দাও রোদ, মেঘ, কখনও বা জ্যোৎস্নার সুতো
শহরের উল্টো পারে যে তোমার নিঃশ্বাস টের পায়
এঁকে ফেলে চতুর্মাত্রিক শরীরের মানচিত্র
তাকেও তো ছুঁয়ে থাকে একই হাওয়া, একটাই সূর্য
তবুও তোমাকে কেন ছোঁয় না এইসব সংক্রমণের খবর!
ক্লাউড স্টোরেজ তুমি দূত হয়ে পৌঁছে দাও সমস্ত মেসেজ