শতানীক রায়
একটি রাত
১
কিছু কি মনে পড়ে যায়? আজ এত রাতে কোনো কবিতা কি লিখে ওঠা যায়। একা একটি কবিতা স্থির হয়ে থাকে কি এই অজানায়— আর এমন কিছু নেই, আর এমনও কিছু নেই— গতকাল সন্ধ্যা থেকে ক্রমাগত বৃষ্টিপাত। মনে হয় কিছু একটা হলেই হল। কোনো একরকম নিরাময়। অল্প থেমে থাকা
২
মৃত্যু নিয়ে কিছুই করতে পারি না। আজ আমি সাদা কিছু কল্পনা করতে পারছি— আর আমার কল্পনা আজ কিছুই না— কেউ কিছু না— কেউ দু-দণ্ড শান্তি— কেউ কেউ ভীষণ কথাক্লিষ্ট— কেউ ডান হাত গুটিয়ে রাখে— কেউ হঠাৎই এখন হাত রাখল হাতে— কেউ দ্রুত পথ পেরোল— কেউ দীর্ঘ শ্বাস নিল— ছাড়ল— কেউ কেউ অযথা হল
৩
গোটা অধ্যায় জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি— ইতিউতি করছি— সঙ্গ ছাড়ছি— ঝরনার কাছে আসছি— ভাবছি এই কী হল— জলের ভিতর দিয়ে কবিতা আমি ভাবতে পারছি— আমি গোটা অধ্যায় জুড়ে ‘আমাদের’ মধ্যে যে-আমি আদতে আমরাই একটা আমি— এভাবে নিস্তরঙ্গ নদী বিশ্বাস করি— বিশ্বাস করি রাতে— বিশ্বাস করি ফিরে আসাতে
৪
তারপর কি থেমে যাব?— তার চলে যাওয়াটা কতক্ষণ দেখব— তার হাঁটা— পথের বোধ— আমি কি নিজেই পথ তবে— প্রশ্নহীন আমি নই— গান করতে ভালোবাসি না— এত রাতে নিজের হাতদুটো এভাবে দেখি— কীভাবে এখনও কবিতা সমগ্রতা পায়— কীভাবে আর দেরি নয় বলে— এই তো বিপদসংকুল দেহে জীবনের আবির্ভাব ঘটে— আজও অধ্যায়টা অন্তহীন— যখন আর কিছু নেই— যখন গল্পটা কেউ তৈরি বলতে পারছে না— যখন কবিতার কাছে এই জিজ্ঞাসা— কিছু কি থাকছে রাতে— কোথাও কি কেউ ডাকছে দীর্ঘ— আমি বিশ্বাস করি এসব— বিশ্বাস করি আরও কিছুদিন অপেক্ষায়— একটা সাইকেল আর ব্রাহ্মাণ্ডে