জি কে নাথ
শুদ্ধতায় নেমে আসো জল
ছায়া ধরা জেলের মতো তপ্ত আত্মনির্জন,
অতি অল্পেই সমাপ্ত , ব্যবহৃত নির্জীবতা
যেটি আদতে সাজানো ভাষায় মিথ্যে খসা , আলোছায়াময় উচ্ছিষ্ট মানুষ,
আমার
অন্তহীন প্রলেপনে ধীরে ধীরে
ঘোষিত নৈঃশব্দের ভেতর বসেছ,
পৃথক হয়ে ওঠার চিহ্নে খুঁড়েছ শোকাতুরা দেহবাষ্পমাটি
মহাশূন্যে সব ভার হালকা হয়ে
মুহূর্ত উড়ে গেছে ব্যবধান রেখে কোথায় ?
অশ্রু বর্ণিত এই পোড়া শব্দের পাশে রাখা কতদূর আত্মস্থ করেছ জন্মরোদের সুলভ ধ্বনি !
কৌতুক কৌতহলে টাঙাও এবার উৎস কিংবা ফলবান শুচি,সজীবতা
যাপিত স্বপ্নের বিলাপে আজ অবধি চিরকালীন দৃষ্টি হয়নি, বিপজ্জনক সম্মুখে আমাদের অপজীবন, রাষ্ট্রযন্ত্র
প্রসন্ন হও, ধীরে , আরও ধীরে দগ্ধ পাপে
ভাষাবিস্তৃ হা হা আলোর হৃদ,
গম্ভীর
এ গহন পৃথিবীর আড়ালে যেতে চায় মানুষ , পূর্ণতায় স্পষ্টতর সে জানে,
মন্ত্রময়তার শরীর ভর করে
প্রতিবার মুঠো ভরে ওঠে ,
এখন এই যে ভরে ওঠা ,
সময়াবদ্ধ তার ব্যবহারিক আড়ালের সবটাই ছায়া ,
ফিরে আসে,
কাছে ফিরে আসে বারবার ,
শতাব্দীর প্রান্তে
সর্বজনীন কথা বলার সংসারচক্র...
মেঘাচ্ছন্ন যা আমাদের বিস্ফারিত
কৃষ্ণশরীরসমুদ্র রঙে প্রবাহিত করে
স্পষ্ট হয়ে ওঠে অন্ত:সার,
গাঢ় অবগাহনে ভাসিয়ে নিতে থাকে
তৃতীয় বিশ্বের চোখ...
গূঢ় অস্তিত্বে অর্থহীন একটি আর্দ্র শব্দ ,
দুটি শব্দ কিংবা তিনটি শব্দের সন্দেহে যে ছায়াপাত , আবরণহীন
স্বাভাবিক অথচ সহজ বিপুল শাখায়,
ঝুলে যায়,
আর্তনাদ করে পরিমিত মানুষ, কখনই মসৃণ নয়
গড়ায়
গড়ায়
গড়ায়
ছায়াকর্মে কখনও বা ভারসাম্য জগৎ জহরত
উঠলে ওঠে কথা,
পুরাতন ক্ষয়ে যাওয়া ঠোঁটে
অথচ কিছু সহজ ছিলো না সমূহে
ছেয়ে যাওয়া শাশ্বত, ঠিক কতবার দুর্লভ বা দুষ্প্রাপ্য
প্রবাহের অবর্ণ ছায়ার উপর টান নেই,
সমতীত ভেসে ওঠায়
ওই তো বসে থাকি পূর্ণ
দগ্ধ গোপনে কীভাবে নষ্ট হয় শিশুর মতো কোমলে কঠিনে ?
আবৃত , আগুন ঢালা যা কিছু সত্য
আমাকে গোপন করে জড়িয়ে
পড়ে আছে ধূসর স্তব্ধ হয়ে অবিচল ভারে,
ভুবনের হিরন্ময় সমস্ত কোষ ,
অকরুণ পূর্ণাঙ্গ অবয়ব
ক্রমে উৎসের স্ফুলিঙ্গে সময়ের ব্যবধানে ,
পরতে পরতে একে অপরের আয়ুধ...
বস্তুত রক্তের তুমি অন্ধকার হয়ে ভেসেছ,
বিষম পাঁজরের ছায়ায়
ঝাঁপ দাও , অতলে আটকে অক্ষের মণিফাটা জল
দুঃসহ ঢেউ আসে ধ্রুবপদে,
আড়াল তো আজ সবটাই
বিদ্যুৎবহ্নির মতো স্রোতে ভেসে ওঠে,
মানুষে-মানুষে ,
নুন অধিক দৈনন্দিনের মুহুর্তে,
আত্মনির্মাণে প্রাকৃতিক বর্ণমুখোশ
চিনেছি ভেতর থেকে অমোঘ অতন্দ্র
আড়ালের এই যে কথাগুলো,
উদ্যত হয়ে দেখতে পাচ্ছি ,
বিপুল নীরবতায়, ক্রমশ এগিয়ে আসা,
লেখার আনন্দে এই অবান্তর যাপনচিত্র,
শব্দ হলো সজল
এই সব অন্তিমে...
দ্রুত আত্মবিস্তারের জটে
নীলাভ জগৎ হয়ে দাঁড়ায়
আরও বেশি কখনও বা এই একটা অতিকায় ব্রহ্মসময়ের করোটি
যা পাচ্ছি , প্রসারে তা-ই পাঠ্য কিন্তু এটুকু ধ্যানবিন্দু মাত্র
অর্থহীনতার এ শরীরে স্থিত ,
শান্তির ঐশ্বর্য দাবি করে,
ভেবে ফেলেছি বহু দিনের নিমগ্নতা ।
বারেবারে ফিরে আসতে হয়,
একই রকম আমার অজান্তে আমারই, প্রজন্মজলে,
ভিজে অস্থিরতায়
শিকড়ে শিকড়ে অনিশ্চয়তার এক অন্ধকার , সমকালছুট সংযম ও স্থৈর্য
প্রণাম ভেসে যায় যেন নিঃশব্দে মথিত,
দীর্ঘ শরীরের পৃষ্ঠা খুলে দেখি,
স্নিগ্ধ অগ্নিমায়ার স্নেহে আজ আর কেউ নেই !
বাজাও , আরও যখন বেশি আমি-র ভেতর
অজস্র সর্বস্বভূক ভালো !
ভুলে গেছি আমি, কে তবে উঁচিয়ে আছে
আমাদের পরপারের চারপাশে
নিরর্থক মানুষের কঠিন শাঁস
তাকাও সবই শান্ত এ মহাসময়ের,
অতিক্রান্ত সত্যে,
পাশাপাশি অথচ আরও দুটি অক্ষরের ,
আড়ালে তোমায় লুকিয়ে রেখে আজ ,
এই চূড়ান্ত আঙুলে ধরেছি দারুণ সফল!
তরল কন্ঠের ভেতর ঘুরে দাঁড়াই,
বিগত বজ্রবছরের বাহ্যিক
আত্মাজুড়ে ভাসা এ উদাসীন নাভি,
ভেদ করে এক অনির্দিষ্টের আলোয় ,
খুব গভীরে ,
স্থিত প্রক্রিয়ার ঝলকানি...
তুমি নত হলে এমনভাবে ,
যখন দুঃখ পড়ছি এই প্রতিস্পর্ধায়,
শব্দ ! শব্দ !কী মরুময় ঘূর্ণিতরলে ঘোরে মন ,
হাত পা খুলে এই যে জলভরা স্তনের পুকুর, সাঁতরে তুলেছ,
ফুটে থাকা ইঙ্গিতে সংবৎসর ক্ষুধাপদ্ম !
বুঝি কখনও মুখ না দেখা পাঠক ,
কিছুমাত্র দূরদর্শী,
তুমি কি স্বস্তির যোনিতে রোপণ করেছে কামনার বীজ ?
শিস্ন হাতে শিকার হয়ে গেছে এবার শান্তি, ওঁ
চুপ, ঘন হয়ে পড়েছে ঘাসের উপর সন্ত্রাস
এ কোন উন্মোচন ?
সমস্ত শরীর লেখা এক গভীর ও ব্যাপ্ত চলা নিয়ে আসা হাওয়ার দপ্তরে সোজাসুজি লাফ,
লাফায় ধোঁয়ার ফাটলে কুত্তার বাচ্চা বলা একেবারে অন্যরকমের জমকালো হৃদয় !
সমস্ত আলোর ভেতর আগুন , আগুনের আলোয়, অন্ধকার সর্বনাশ
ভ্রাম্যমাণ ভ্ৰমের মাসে সে কথা এর মেনে মনে রাখতে পারিনি।
বিকেলের নিঃশব্দ কবিতার মতো কেউ কারো কি হতে পারে অথবা ক্ষণস্থায়ী ,
এ প্রণামের সমস্ত নিস্তেজ আলোয় মুখ ধুয়ে যায় , দুলে ওঠে বুকের উপর নিঃস্বতার রঙ,
বিবর্ণ পোশাকে ঘটে যাওয়া ছাপের দিকে অভাবিতপূর্ব হাতের রেখা...
সারিবদ্ধ নিঃশ্বাস থেকে গড়িয়ে নিচ্ছে,
মস্ত এক নিশ্চল গন্ধে হেমন্তের হলুদ ত্রিমুখী গতি
ভাবো, কেন এই দুর্বৃত্ত দিনে শিকড় ভেজা চুলে অরচিত শুশ্রূষার মৃত গ্রীষ্মের গেরস্থালি
নিঃশব্দ সার্থক দৃষ্টিতে লেগে উবে গেছে,
টোপ
তুমি এখন কোনো কথার মধ্যে না থেকে বেরিয়ে উঠে পড়েছ,
এই শুধু ব্যথার বীজ
ঢেউয়ের মতো স্বজনরা এসেছে ,
ধাতুর মতো সারাদিন ঘষে ঘষে শুধু,
ফেনার আদর্শ সাবান, রক্তমুখী
কোনো কিছু মিথ্যে নয়,
তবুও সারাবেলা জলের ছলে,
ধ্বনি চেহারায় বিমুগ্ধ স্পর্শ পেতে,
এমন কিছু একটা আমাদের কথার তক্ষক ডেকে আনলো জন্ম ভীরুতার মধ্যে !
কে তবে জেগে উঠেছে পথে বসানো গানের ওই কালো ঢেউ লেগে ?
এখন নিজের লেখার রোদের ভেতর থেকে
দাঁড়িয়ে বিপরীতে এই সবকে ধারণ করেছে
এমন এক সুষমা যা প্রবাদের গন্ডি পার করে ,
এ ক্ষমা অন্তরে এই অবধি উদ্ধৃত ,
সবই জন্মের আলোহাওয়ারোদ সময়ের ...
কতই-বা তুমি তো ছাপিয়ে এনেছ বিবিধ উদ্ভিদ,
কী তবে যা শুধু জাগরণ অবশেষে ভেঙে, উড়ে গেছে,
উত্থাপনে থেমে থাকা তো সম্ভব ছিলোনা শুধু, বিচ্ছুরিত শীর্ষে নিঃশব্দের জিভ,
আস্বাদে অসম্ভব প্রিয়!
অগ্নিলালা গড়ায় তোমার প্রতি বিপন্নতায়, আগুনের বাইরে নিয়ে গেলে না তো ?
লেখা হয়ে থেকেছে দুঃসময়ে ,
রিক্ততা থেকে পূর্ণতায়,
বুকে বহু পাঁজরের দরজায়, আমাদের সেলাই করা, কথা
এই সূক্ষ সামাজিক কেবল সহ্যের অন্তরাল , বিলোপে নয় বরং অবিরলভাবে তাকিয়েছি ধারণায়,
শরীর রচিত হওয়ার পর শব্দ পার হয়েছে,
যার নাম জল...
একি হাওয়া লাগা শীর্ষে সমগ্র সময়ের বহুস্বর ?
জলের মতো জলের কোমলতা সুস্পষ্ট সুস্বাদু ঠোঁটের আভায়
তুমি তো শ্বাসে ভেজা শূন্যের অভ্যাসে লেগে,
আমি ব্যস্ত সশব্দে,দিশেহারা
ব্যক্তিগত খোলসের যুগ অতিক্রম কেন যাবে সাম্যময় নিবিড়ে ?
তবে এই ঐতিহ্য সহায়!
দৈব তাড়িত সর্বজন মান্য সুষমাভার
শুয়ে আছি ঘোরলাগা জলে ঔদাসীন্য,
লোকায়ত ছায়া ঘিরে ধরে ফেলার কৌশলে একেবারে বাক্যহারা
মূলের ভেতর আয়ু নাকি আয়ুর এই কথাতে জীবনশিল্পের অলংকার খুলেছি অপব্যয়ে, ধ্বনিগর্ভের তোরঙ্গে দু হাতে
সব সাজ খুলে ফিরে চলো ধমনীতন্তুশিখার জলাপন্ন প্রভায়
ক্রমে খননের মধ্যে একক হয়ে গেছে ত্র্যহস্পর্শের দেওয়ালে ব্যক্তিক্ষয়,
আবারও , এই যে অল্প কথা ভেঙে পড়া থেকে আশ্রয় পেতে আরও যে চিনে রাখা
তাতে স্রোতের সলাজ মুখ,
শেষ হয়ে যায়নি, বহতা পেলব
খুলে গেছে পাতালের ,
কোনও -বা দুর্দিনের আমি তুমুল হয়ে গুলে যাচ্ছি বিরল বরফের দায়ে
শেষ হওয়া অপঘাতের ইতিহাসে,
নিজেকে ফের একত্রিত করা সকলের প্রত্যেকে এ ঘুমিয়ে পড়া হিম ,
তারপর ভাঙা টুকরো সংহতি,
সব ঢেকে নেয় আর্তি
তুমি বলো বুঝতে পারি যা কিছু
কল্লোলিত শরীর ভর্তি নিজেরই,
অকল্পনীয় আগুন ভরা মেঘ দাগ
এসো চিনে রাখি বারবার
এই ক্ষয়িষ্ণু অবরোহে মাটির,
সময়ের, মানুষের ,
কিন্তু এই আমি তো গুঁড়ো ,
পায়ের পাড়ে রাত্রির শেষ কালো সানগ্লাসে অস্তিত্বের কথা বলি !
এখানে প্রকাশিত দিগন্তরহিত,
জলীয় একজন,
শুধু তাঁতের সেই ম্লান শব্দের শিখায়
বোনা যতখানি দাহ,
আত্মীকরণ না ঘটলে মুখোমুখি
জমাট রোদহীন অংশ হিসেবে খেলা করে
নিভন্ত এই স্বমাংসের হিম!
মাটির মাটির বলে জেনেছি অধিকারহীনতায়, নিভে ভিজে একাকার পুনরাবৃত্ত ভুলে,
অবচেতনার অপাপবিদ্ধ গুল্মকাল ,
এ কি প্রস্তুতি ?
পড়ে আছি জলসীমায়, পড়ে থাকতে হয় এক অস্পষ্ট অবস্থায়,সম্পর্কের কথা বলতে
বোঝাতে গিয়ে এই শরীরের ছায়া রূপ বদলে যেতে পারে বলে বারবার
সরে আসি অসংগত,
প্রচলিত সত্যের দূরে সরিয়ে দেওয়া
সত্যিকারের ঈশ্বর জুড়ে যায়
তোলপাড় ভূগর্ভস্থ মৃত নদীর লাশ
আগুন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিজের মধ্যে,
তাকিয়ে জুড়ে যাওয়া আয়ু ,
যার মধ্যে অগণিত জীবন এসে জুড়ে যায়
অবিসংবাদিত কে কার প্রকৃত অর্থে ?
তুমি ঘুরে দাঁড়ালে দিকভ্রান্ত ,অল্প বয়সের বিষে,
হয়তো এভাবে ঠিক নয় , আমি যেতে পারি যদি, আন্দাজ পাই প্রত্যাশিত ,
আত্মতৃপ্তির বাইরে
কী ফেরাবো সহজ অঙ্গীকারহীন এই ,
অনেকখানি প্রতিধ্বনিত আগামী প্রত্যয়,
ধরা থাকে নিহিত বহুবচনে আত্মআবিষ্কার ...
আমার কথা বলা , যেভাবে আলো ছায়ার দূরত্বে এক দশকের মাঝে প্রবেশ করে
হেমন্তের রক্তে মিশ্রিত আমূল বদলে যাওয়া দীর্ঘ বিরতির মতো সংসার দোলনা ,
এমন নয় যে , এই শরীরের উজ্জ্বল স্বাক্ষর ভেসেছে , তার বহতা চারপাশে দিকচিহ্ন পাওয়া ভারী নিপুণ বুননে।
আগুন আগুন এই পোড়াও দেশ ,
অশুভের পক্ষ নিয়ে পোড়াও তীব্রতায় অনেক কবিতার অলীক হাড় ভেঙে সরাসরি , অনুচ্চ, সপাট
আমি অবিকল তুলে দিচ্ছি পারমাণবিক সূর্যের শিবিরে নৃতরত গোষ্ঠীমূর্তি...
কে তুমি বিষাদের অপারগতা , রেখাদৃশ্যে পিষ্ট হয়ে দীর্ঘকায় হয়েছ ?
এই যে মিলিয়ে চলার পদরেখায় , চরমে পুড়ে গেছে কষ্টিপাথরের কোমরের নীচে আপাতত গরম হাওয়ায়
তুমি তো কীভাবে মাংসকবলিত,
শিশুদের জীবন্ত মানচিত্রে রোদ নিয়ে যাওয়া এ কাগজের ভাঁজে হেলে পড়েছ!
যার চেয়ে এর পাশাপাশি অস্ত্র হয়ে ওঠে শব্দ-মধ্যবর্তীর শব্দ থেকে নীরবতা
আমি শুধু একজন পুরুষ,
পুরুষের যৌনাঙ্গের শুধু তুলে দেওয়া হয়েছে নির্বিকার দুবেলার ডুবে যাওয়া ক্ষতের পুঁজ
আমার কি যেন অন্য কোনও কথা বলার চেষ্টা কি নেই ?
হাতড়ে গেছে বয়ে যেতে যেতে
চলমান দ্যোতকে ফুটে ওঠা সংকলিত হৃদব্রহ্মপুত্রের পলি,
অবিকৃত অভ্যন্তরের প্রতিফলন, আছে ,
এসবই আছে
জেনো আমার উৎসে কেঁপে ওঠে , কেঁপে ওঠে
এই যা সাধারণ , সংবাদ
পৃথিবী বর্ণিত শ্যামল মুঠোয় আঁকড়ে,
ধরে আছে,
দেখি , দেশজ শব্দে ভবিষ্যের শেষ রূপ,
সয়ংক্রিয়ভাবে কেবল লিখিত শব্দের চিরকালীন হয়ে থাকে না এই শুধু অবিচল ঘন, রাত্রিকুয়াশাভার -অভিজ্ঞানলিপি
হয়ে ওঠে সমর্পনে এক আশ্চর্য আবহে স্বগতোক্তি, এই যে যা কিছু উদযাপিত ,
যা কিছু মহত্বের চূড়াভ্রষ্ট
কী হবে জেনে নিমগ্ন আঙ্গিকের দিক দিয়ে আবিস্কার কে দূরে সরিয়ে নেয়া জন্মবিলাপ
অবশ্য এই দ্রুত অসহায় অন্তরাত্মা ফুঁড়ে নীলাভ কবিতার শিরায় দেশ
আমি জন্ম ভেদে উঠে গিয়ে মানুষের প্রতি মানুষের ভেতর কবিতা পড়ে ধরতে পারি প্রত্যক্ষ , স্পষ্ট সমস্ত অধিকার
দুঃখের মধ্যে পুনরুত্থানে আমার তো কিছু না থাকায় থেমে থাকা কথা ছিলো না,
স্বধর্মের গোড়া ছেড়ে পরিধিহারা তোমায় এভাবেই কি পাবো সর্বত্রই ?
উদাস প্রকৃতির তুমি তো জানো আর তো সময় নেই , যদি চাও অস্তিত্বের স্মরণে ব্যথা নিয়ে এই সমস্ত ঝুঁকির দিকে ঝড়ে উড়ে যাওয়া ছাড়া, কোনো শব্দে জল গড়িয়ে পড়া ছাড়া উপায় নেই ,
এত প্রচন্ড, তীব্র পাঁজরের ছাদে চাপা টানে ঘুরতে থাকে মসৃণ নিটোল ধুলোর শাদায় হাত
মাটির কথা লিখে আসতে আসতে জীবনের শূন্য কারুকথা
নিঃস্বতার কথা বলে আসতে আসতে জীবনের শূন্য কারুকথা
রোদের কথা বয়ে আসতে আসতে জীবনের শূন্য কারুকথা
শব্দের কথা ভেসে আসতে আসতে জীবনের শূন্য কারুকথা
কার কাছে একথা বলতেই অতর্কিতে ভেতরের জলজ হ্রদে নেমেছে অপটু সরু ভয়াল দাঁতালের সব ঘ্রাণকণা ,
শুধু একবার অবাধে নিশ্বসিত বালির নীচে ঠান্ডা জটিল করে রেখেছে গ্রহণের সর্বস্ব নিয়ে অক্ষত সেকথা তবু এই ঘুমানোর মুখে নিঃশব্দে জ্বলে সব ঝরে যায় অশ্রুবিন্দু রূপ ছায়ার অন্ধকারে জলের আলোয় উদ্ভাসিত ভয়ের কিছু, সেটাই বা কে জানে!
ক্রমে, ক্রমে অবিচ্ছিন্ন মুহূর্তের কথা না ভোলা মানুষের এই কোন জায়গা যার দিগন্ত নেই ?
তবে সত্তার এই বহুমুখী দিকচিহ্নে,
ম্লান করে থাকা ধূসরতার বোধ ঘিরে
যে জলের দ্বৈধ সুষমা ,
কাছাকাছি এসে ছোট হয়ে আসে ,
সত্যের বাহুপথ যা কিনা স্রোতে পাওয়া দেশকাল , তেমন মনে রাখি না !
একেবারে আনকোরা স্রোতের জানালা খুলে স্ফুরিত জীবন দেখি কত না অভিমুখে,
ধাবিত পরম নকশায় , বাঁধা পড়েনি, খুলে খুলে গিয়েছে বাতাসের মৃদু গিঁট, এ অনশ্বর দৃষ্টি হয়ে ওঠে সেইসমস্ত পাপের ক্ষতে নিরন্তর ভুলে যাওয়ায় উৎসারিত ক্ষীণ উচ্চারণ!
বরং আরও বেশি করে অর্ধচেতনে
বহুমুখ উদ্ধার অথচ আস্তে আস্তে ,
পরিধি প্রসারিত মুন্ডহীন পৃথিবী গুচ্ছের কাছে, আর কোনো উপাস্য নেই...
আমরা নিঃশ্বাস নিতে পারছি না !
অগোচরে এমনটাই ঝলসে ওঠা দুঃখে যেন কুহকভরা সম্পূর্ণে এত ধ্যানের দিকে মিশে,
আছে
বেছে বেছে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় অব্যর্থ উপশম , তাকিয়ে দেখো পুনরায় বিচ্ছেদে রচিত,
একটি বিপুল বিন্যাসে ঘননিবদ্ধ মহাশরীররচনা , নিপুণ এ হয়ে ওঠার মূলে,
অবিচ্ছেদ্য করে রাখা প্রজ্ঞা,
এই রকম সব চোখের তারায় আত্মহত্যা দেখে যতক্ষণ আমার ক্ষেত্র এই কৃশ ,
এমন সব বিস্ফোরক সমূহ সর্বনাশ ,
অথচ আটকে গেছে সময়-বহির্ভুত মৃত্যুর দিক দিয়েও যা বিস্ময়, ওকে ডাকি অনুচ্চার স্পর্শে জন্ম বহমান ধারায় আমার যেটুকু জানার পরিধি , যতটুকু কী সীমাবদ্ধ ?
যাপিত উত্তরের শূন্যে চলে যাওয়ার ভেতর নিমজ্জিত রুপোলি বেদনার
কিছু শূন্যতার মধ্যে এই কথাবাষ্পফুলের নাভিমূল ভাসে,
কেঁপে ওঠে স্থালিত এই নির্ভরতা,একমাত্র যে প্রাণ নিহিত রয়েছে হাতের নাগালে
ভাসে জীবনের অস্থি , অস্থিময় বৃষ্টি ঝলসে ওঠে মৃদু উচ্চকিত মগ্নচৈতন্যে
এক নিরন্তর অন্তরদাহ তো ছাড়িয়ে যেতে পারে হাঁটুজল ভেঙে অন্য কোথাও মর্ম স্থাপিত অতল স্পর্শ ,
এই বোধ আমাকে বারবার পড়তে হয়।
তবে ডাক জল , ডাক আকাশ , নীরব, আত্মায় টহলদারির শরীর বেঁকে চুপ করে বসে থেকেছি আত্মস্থ করার সাংকেতিক বর্মে অথৈ , একাকী।
অন্তর্মুখী এই সময়ের গহনে সম্ভারে
প্রবেশ করতে মহাগ্রন্থ শুধু অন্ধকার ,
কিন্তু এ না থাকা , অবলম্বনহীন কোন শূন্যে ভাসমান, সমস্ত ব্রহ্মান্ড পাত্রে
সীমাহীন এই আমার ছায়ার বিস্তার
দ্বিখন্ড সমস্ত আগুনের সমুদ্রে
নিয়ে চলে এ পল্লবে নত তরুণতর ভাগ্য ,
এভাবে নিশ্চল কালের,
এখানে এসে যেন আরও স্রোতের সাথে ,
নিজেই নেমে চলেছি বাষ্পীয় সমারোহে,
সম্পূর্ণ আলাদা এক অভিঘাত নিয়ে তুমি তো কোনও আলাদা তেমন নও ,
মৃত্যুময় কলরবে জেগে ওঠে পাঁজরে পাঁজরে রুচির ধূসর পংতি,প্রায়শ্চিত্ত
কেন সব নেই আর অযুৎ ক্ষত নিয়ে রাত্রি মুখের খোলা দাঁড়ে, বুঝি না,
সমস্ত শরীরী স্তব্ধতায় থেমে প্রতিবাদ কিংবা জংলা পৃথিবীর নীলাভ শিরা প্রদাহ,
জ্বলে ওঠে দূরায়ত স্বরের নক্ষত্র মাঠে পাঁজর ছিন্ন নগ্নিকা দেহ দিগন্ততটরেখামূল ধরে ,
জেগে ওঠা ভূখণ্ডের স্বরে ঝুঁকে প'ড়ে সৌরবিদ্যুৎকল্পবলয় থেকে ক্রমে প্রতীয়মান স্বীকারোক্তি , ঘনতায় ভরে আমাদের প্রতি আমাদের কথা,
তারই মধ্যে অতিকায় জলের উপত্যকায় ভাসে অখন্ড নিঃশ্বাসে টুকরো শাদা গান!
মুহূর্তের কোথায় সেই এই কূলহারা শূন্যতার দেহক্ষেত্র ?
চেয়ে দেখো শান্ত হয়ে শ্বাপদসুন্দর চলে যাওয়ার ভেতর আগুনে পুড়ে ছাই ভয়,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কী আশ্চর্য ,
শ্যামলতার প্রবাহদুয়ারে,
স্মৃতির সোনালি রোদপেশি
কেঁপে কেঁপে মুছে যায় শূন্যতায়, প্রতিধ্বনিহীন
মনে হয় অপার সম্ভাবনায়,
নিঃশ্বাসে পোষ্য
সমস্ত মহাজাগতিক শীর্ষচ্যুত নিরাকার স্পন্দনে, ভেসে যায়,
ঘুরে ঘুরে
শব্দহীন এ আত্মগরিমার তলে ,
দূর কালের কথা যা আমাদের ,
অস্ফুট জলের মতো শুধু চক্রবৎ বূ্্যহ , ফিরে যাই , ফিরে যাই না কেবল
তবে কেন বলো এ অতিকায় আয়নার চিরজলে সকল যুদ্ধ লিপ্ত গৃহশরীরে এক চতুর্মাত্রিক ধাবমান , নিজস্ব যেন এই খুলে ফেললাম অন্ত্র , একটু একটু মানুষের প্রতি , নেমে গেছে নিজের গভীর বাতাসবিস্তৃত অধিচেতনায় -- তবু আড়ালে চলে গেছে ধারাস্রোতে এ পর্যন্ত স্বতন্ত্র পাশাপাশি, আগ্নেয় আয়োজন ভরা স্বাচ্ছন্দ্যে জল ভাঙা পাথুরে ঋণ ধারাবাহিকতা ,
আন্তরিক মাঠের মতো প্রশস্ত কুচিকুচি ভেঙে আছে ভিতরে দূরে নয় নিকটে এই ধুলোর স্বরে, সে শুধু আমার অন্ধকারের ছায়ায়,
আরও যাবে কিছু দূর এমন বৈপরীত্য,
হিংসার উল্টো পিঠে কোমলতা হারানো খেলনাবাটি, রুক্ষ
নিরুদ্বেগে খুলে ফেলতে পারার পায়ে পায়ে নামো এ শুধু মাতৃভাষা মর্মরের বাদামি চিহ্ন,
তোমায় নাকি আমার কাছে প্রস্তুতির অসামান্য অধ্যায় এর বিকাশে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে রাতদুপুরের পর দেখি আয়না ধোয়া যা কিনা আত্মার ফুলে ভরে , ঠিক ততটাই প্রয়োগনৈপুণ্যে পিশাচ বিবেক!
নিজের হয়ে প্রত্যেক মুহূর্তে তুমি দেশ দেখেছ কি অসাড় পৃথ্বী ডানায় দ্বিধার ক্রমবিস্তারে শ্রেণীজন্ম ?
তথাকথিত চিরজাগরুক বোধের কাছে উপলক্ষ মাত্র সমস্ত গ্লানি আজ ভাসে যে বুক ভাঙা যমুনার মতো ,
আমি সেই অনিকেত ছায়ায় তুলেছি এ স্নিগ্ধতার উপশম,প্রমাদ পরিণত !
ক্রমে রক্তের গন্ধে পিচ্ছিল ক্ষুধার লোভ বিকৃত শরীরের নেশায় ফেটে যাওয়া অনন্ত বেলার ভেলায় বৃষ্টিহারা মানবশরীর সাঁতরে ক্ষয়ের পোশাক খুলে নেই সন্তানের শূন্য সমূহ পরাভবে,
হৃদয়ের হাড় ঝলসে অস্ত যায় প্রণামের আকাশপুকুর,
নির্নিমেষ তাকিয়ে থাকতে থাকতে জন্মের বিনিময়ে মুহূর্ত কথা উদ্গত হয়ে উড়ে গেছে কালের স্মৃতিহ্রদে ,
স্মরণরেখায় যতটুকু ধরে সকলের জন্য
তুমি হাঁটলে উদ্বায়ী বন্ধুতার মধ্যে দেখা অক্ষরে , বহমানএরকম অগ্নিবৃষ্টিময় সংসারের পাশে পাশে একলা ছেড়ে কত যে দুরূহ বিশ্বাসের , হয়তো বা স্বাতন্ত্র্যের বিরল এইখানে , কিছুই যদি কোথাও নেই, মনে-মনে , এলোমেলো
অভিমুখ এক কিন্তু আত্মঅভিপ্রায়ের সমস্ত প্রবেশে ঘোরে ছায়াবিষণ্ণকণা,
উঠে এসেছে আমার মুখের দিকে বিষম প্রতিভাগুল্ম জড়িয়ে ধরা পরিব্রাজকের মতো লিখিত শোকের প্রতিলিপি জ্বলা আলো
বেঁচে গেছি সরল ভাসমান শীর্ষ সমেত পাকা প্রাণগোধূলিক্ষেতে মসৃণ সূর্যের ছায়া ভেজা সাঁকো পেরিয়ে লীন নীরবতার ঝিনুক
সচল দু-ধার দেখো আর নেই
যে কথা বলার তবু, বলিনি ভেবে নিথর উচ্চারিত হতেই জড়িয়ে পড়ি
অলক্ষিত রয়ে যাওয়া মানুষের ধারণায়,
নির্ঘুম ঘিরে রেখেছে কেন এই অমোঘ নিঃশব্দে শ্রুত বর্ণের গাঢ় শিলাতল ,
ছায়ায় প্রত্যহ ভাঙো দুঃখের ,
সমান্তরাল নীচে,
ঠিক যেন শুধু স্নানস্তম্ভ ,
স্নানে ভাসে ঘর, অবিরত ,
আবর্ত যেন কেউ এমন সংযোগ ,
আমার জন্মের- মৃত্যুর,
তীর্যক ভাবে থেকে যাচ্ছে না বলে আগুনের মতো তুমি উন্মুখ রাখাল !
হাত রাখো হাতে , শুনতে পাই ধরা দিয়েছি নিজের আংশিক অন্য বা আমাদের কিছু ঘরোয়া দায় থেকে আরোপিত করুণ বিদ্যুৎভঙ্গিমা ,
বরং বারংবার পূর্ণাঙ্গ ধরণে অভিনিবেশ করো, এত ভীষণ শান্ত মহিমা , বুঝি আমার মধ্যে আর নেই কেউ,
টের পাই বর্ণহীন অজস্রবার,
সব দ্বিধা প্রচ্ছন্ন হয়ে সহজ ,
সর্বনাশের চলাফেরায়,
ছড়ানো পিছুটানহীন সমস্ত ব্যাঘ্রজোছনার দিন ...
সুউচ্চ পারস্পরিক সম্পৃক্ততার রঙ অবলীন, তবু যেন এতদূর বাইরে থেকে নক্ষত্র শিখর জেগে ওঠে প্রকল্পিত চেতনায়, আমাদের কতটুকুই বা এসব
আড়ালে বাজেয়াপ্ত চিরন্তন হৃদয়ের সম্পূর্ণে সেই এক বলে চলা,
হয়তো মসৃণ নয় কঠোর সেই উত্থান, আবহমান
এই শুধু কৃপার , যা ছিলো
আছে
ও থাকবে, এই শুধু কৃপার
বাঞ্চিত তৃপ্তিতে উদ্ধৃত ঘরের মানুষ
বুঝি, অমনোনীত জন্মের কোনো শেষ নেই,
ধরা আছে গভীর ছাপ ফেলে দেহশস্যের সীমা অতিক্রম উৎসর্গ এর স্বভাবজল !
কিছু তো দেখবে পথ হারানো এমন কিছু মিলেমিশে,
নিরিবিলি তাই দেখি, জলজ নিঃসাড় দিগন্তে কুপিয়ে ডুবিয়ে গেছে নিখাত নীলাভ একাদশীতে
শেষ অবধি শব্দে গাঁথা আলোহীন ভেতরে ভেতরে তোমার সাথে ঘর করি,এটুকুই আশ্চর্য
তুমি বলতে তো সনাতন আমারই নিঃসীম প্রতিরূপ ,
নিশ্চিত জেনো, আত্মধ্বংসের পাশে কোনোদিন ছেড়ে যেতে দেব না ...
আমি আছি,
আমি
শরণার্থীর মতো সীমান্তবিহীন, আমার এমনি অনিশ্চিত
শান্তি নেই,
নিহত স্নায়ুর ডানায় তুলে নেই বিস্ময়প্রবণতা
ভিজে গেছে মাটি রক্তের অবাক উড়ালে,
ছিটকে গেছে আমাদের পরম আয়ু ,
অণু থেকে অনন্তে ...
দৈবাৎ জব্দ করার জন্য ছিন্ন মাথার ভস্মে উড়ন্ত অন্ধকার , অভিমান
কে কাকে বোঝাবে আর ?